আছে!
নামাজে দাঁড়ানো,রুকু ও সিজদাহ👇
‘অতঃপর যখন তোমরা নামায সম্পন্ন কর, তখন দাঁড়িয়ে, উপবিষ্ট ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ কর।’(সূরা নিসা,আয়াত নং-১০৩)
দাঁড়ানো👉সালাতে দাঁড়ানো
উপবিষ্ট👉রুকু
শায়িত👉সিজদাহ
সিজদাহ👇
‘আর নামায কায়েম করো, যাকাত দাও এবং নামাযে অবনত হও তাদের সাথে যারা অবনত হয়।’ (সূরা বাকারা আয়াত নং-৪৩)
অন্য অনুবাদ👉আর যারা মস্তক অবনত করে তাদের সাথে মস্তক অবনত কর।
তাহারা মুখমণ্ডলের উপর ভূলুষ্ঠিত হইয়া প্রশংসার সহিত বলে: আমাদের প্রতিপালকের গৌরব হউক! আমাদের প্রতিপালকের অঙ্গীকার অবশ্যই পূর্ণ হইবে।(সূরাঃ আল-ইসরা (বনী-ইসরাঈল),আয়াত ১০৭-১০৮)
আর যাহারা তাহাদের প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে ভূলুণ্ঠিত বা দণ্ডিত অবস্থায় রাত্রি অতিবাহিত করে, এবং যাহারা বলে: হে আমাদের প্রতিপালক! নরকের পরিণতি হইতে আমাদেরকে রক্ষা করুন; সেই পরিণতি যন্ত্রণাকর।(সূরাঃ আল-ফুরকান,আয়াত ৬৪-৬৫)
আর যখন তুমি তাদের মধ্যে থাকবে। অতঃপর তাদের জন্য সালাত কায়েম করবে, তখন যেন তাদের মধ্য থেকে একদল তোমার সাথে দাঁড়ায় এবং তারা তাদের অস্ত্র ধারণ করে। এরপর যখন সিজদা করে ফেলবে, তখন তারা যেন তোমাদের পেছনে অবস্থান নেয়। (সূরা নিসা,আয়াত ১০২)
নামাজে দাঁড়ানো👇
‘নামাযের প্রতি যত্নবান হও। বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাযের ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সাথে দাঁড়াও।’ (সূরা মায়িদাহ,আয়াত নং-২৩৮)
নামাজে বিনয় ও নম্র থাকা👇
সূরাহ মুমিনূন : ‘যারা নিজেদের নামাযে বিনয় ও নম্র। (আয়াত, ০২)
আর কা‘বার নিকট তাদের সালাত শিষ ও হাত-তালি ছাড়া কিছু ছিল না। সুতরাং তোমরা আস্বাদন কর আযাব। কারণ তোমরা কুফরী করতে।(সূরা আনফাল আয়াত ৩৫)
'সেসব নামাযী ধ্বংস যারা তাদের নামাযে অমনোযোগী।’ (সূরাহ মাউন,আয়াত নং-৪-৫)
লোক দেখানো সালাত নিষিদ্ধ👇
‘তারা (মুনাফিকরা) যখন নামাযে দাঁড়ায়, তখন দাঁড়ায় একান্ত শিথিলভাবে লোক দেখানোর জন্য।’(সূরা নিসা,আয়াত নং-১৪২)
পরিধেয় বস্ত্র👇
হে বনী আদম, তোমরা প্রতি সালাতে তোমাদের বেশ-ভূষা গ্রহণ কর।(সূরা আল আরাফ,আয়াত ৩১)
কেবলামুখী হওয়া👇
‘আমি নির্দেশ পাঠালাম মূসা ও তাঁর ভাইয়ের প্রতি, তোমরা তোমাদের জাতির জন্য মিসরের মাটিতে ঘর বানাও আর তোমাদের ঘরগুলো কিবলামুখী বানাবে, নামায কায়েম করবে। আর যারা ঈমানদার তাদের সুসংবাদ দিবে।’ (সূরা ইউনুস আয়াত নং-৮৭)
এবং সেই পবিত্র মসজিদের (কাবার) দিকে তোমাদের মুখ ফিরাও(সূরা বাকারা আয়াত ১৪৯)
এখন নির্বোধেরা বলবে, কিসে মুসলমানদের ফিরিয়ে দিল তাদের ঐ কেবলা থেকে, যার উপর তারা ছিল? আপনি বলুনঃ পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই। তিনি যাকে ইচ্ছা সরল পথে চালান।(সূরা বাকারা আয়াত ১৪২)
নিশ্চয়ই আমি আপনাকে বার বার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব, অবশ্যই আমি আপনাকে সে কেবলার দিকেই ঘুরিয়ে দেব যাকে আপনি পছন্দ করেন। এখন আপনি মসজিদুল-হারামের দিকে মুখ করুন এবং তোমরা যেখানেই থাক, সেদিকে মুখ কর। যারা আহলে-কিতাব, তারা অবশ্যই জানে যে, এটাই ঠিক পালনকর্তার পক্ষ থেকে। আল্লাহ বেখবর নন, সে সমস্ত কর্ম সম্পর্কে যা তারা করে।(সূরা বাকারা আয়াত ১৪৪)
কেরাত বা সালাতে কুরআন তিলাওয়াত👇
তোমরা সালাত উচ্চস্বরে অথবা নিম্নস্বরে করিও না, বরং মধ্যপথ অবলম্বন কর। এবং বল: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর যিনি কাহাকেও পুত্র হিসাবে লন নাই এবং যাহার সার্বভৌমত্বে কোন অংশীদার নাই, এবং নির্ভর হিসাবে তাহার কোন রক্ষণকারী সুহৃদও নাই। এবং তাঁহাকে সমস্ত মহিমার উচ্চে মহিমান্বিত কর।(সূরাঃআল-ইসরা (বনী-ইসরাঈল),আয়াত ১১০-১১১)
আপনি আপনার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট কিতাব পাঠ করুন এবং নামায কায়েম করুন।(সূরাঃআল-আনকাবূত,আয়াত ৪৫)
সূরা ফাতেহা পাঠ👇
আমি আপনাকে সাতটি বার বার পঠিতব্য আয়াত এবং মহান কোরআন দিয়েছি।(সূরাঃ আল-হিজর,আয়াত ৮৭)
রুকু ও সেজদাতে তাসবীহ 👇
অতএব, আপনি আপনার মহান পালনকর্তার নামে পবিত্রতা ঘোষণা করুন।(সূরাঃ আল-ওয়াকিয়াআয়াত ৭৪)
আপনি আপনার মহান পালনকর্তার নামের পবিত্রতা বর্ণনা করুন।(আল-আ'লা,আয়াত ১)
শেষ বৈঠক👇
রাত্রির কিছু অংশে তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করুন এবং নামাযের পশ্চাতেও (السُّجُودِ)(সূরাঃ কাফ,আয়াত ৪০)
📷
মাদকদ্রব্য সেবন করে নামাজ না পড়া👇
‘হে মুমিনেরা তোমরা যখন নেশাগ্রস্ত থাক তখন নামাযের ধারের কাছেও যেও না, যতক্ষণ না বুঝতে সক্ষম হও যা কিছু তোমরা বলছ।’ (সূরা নিসা,আয়াত নং-৪৩)
সালাম ফিরানো👇
‘সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব বা পশ্চিম দিকে মুখ করবে বরং বড় সৎকর্ম হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর, কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং নবী-রাসূলদের উপর আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মুহাব্বতে আত্মীয়, এতীম, মিসকিন, মুসাফির, ভিক্ষুক এবং মুক্তিকামী দাসদের জন্য। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দেয়, যারা কৃত ওয়াদা সম্পাদন করে এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্যধারণকারী তারাই হল, সত্যাশ্রয়ী। আর তারাই পরহেযগার।’ (সূরা বাকারা,আয়াত নং-১৭৭)
নামাজের পূর্বে পবিত্রতা অর্জন ও উযু,গোসল ও তায়াম্মুম👇
হে মুমিনগণ,যখন তোমরা নামাযের জন্যে উঠ,তখন স্বীয় মুখমন্ডল ও হস্তসমূহ কনুই পর্যন্ত ধৌত কর এবং পদযুগল গিটসহ।যদি তোমরা অপবিত্র হও তবে সারা দেহ পবিত্র করে নাও এবং যদি তোমরা রুগ্ন হও অথবা প্রবাসে থাক অথবা তোমাদের কেউ প্রসাব-পায়খানা সেরে আসে অথবা তোমরা স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর,অতঃপর পানি না পাও,তবে তোমরা পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-অর্থাৎ,স্বীয় মুখ-মন্ডল ও হস্তদ্বয় মাটি দ্বারা মুছে ফেল। আল্লাহ তোমাদেরকে অসুবিধায় ফেলতে চান না;কিন্তু তোমাদেরকে পবিত্র রাখতে চান এবং তোমাদের প্রতি স্বীয় নেয়ামত পূর্ণ করতে চান-যাতে তোমরা কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ কর।(সূরাঃআল-মায়েদা,আয়াত ৬)
হে ঈমাণদারগণ!তোমরা যখন নেশাগ্রস্ত থাক,তখন নামাযের ধারে-কাছেও যেওনা, যতক্ষণ না বুঝতে সক্ষম হও যা কিছু তোমরা বলছ,আর (নামাযের কাছে যেও না) ফরয গোসলের আবস্থায়ও যতক্ষণ না গোসল করে নাও। কিন্তু মুসাফির অবস্থার কথা স্বতন্ত্র আর যদি তোমরা অসুস্থ হয়ে থাক কিংবা সফরে থাক অথবা তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি প্রস্রাব-পায়খানা থেকে এসে থাকে কিংবা নারী গমন করে থাকে, কিন্তু পরে যদি পানিপ্রাপ্তি সম্ভব না হয়, তবে পাক-পবিত্র মাটির দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-তাতে মুখমন্ডল ও হাতকে ঘষে নাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা ক্ষমাশীল।(সূরা নিসা,আয়াত ৪৩)
মুসাফিরের নামাজ👇
‘যখন তোমরা কোন দেশ সফর কর, তখন নামাযে কিছুটা হ্রাস করলে কোন গোনাহ নেই।’ (সূরা নিসা,আয়াত নং-১০১)
জামায়াতে নামাজ আদায়👇
‘যখন আপনি নামাযে দাঁড়ান তখন যেন একদল দাঁড়ায় আপনার সাথে।’ (সূরা নিসা,আয়াত নং-১০২)
নামাজের ওয়াক্ত👇
ফজর,যোহর,আসর,মাগরিব ও ইশার সালাতঃ
সুতরাং তোমরা আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর সন্ধ্যায় ও প্রভাতে।আর অপরাহ্নে ও যুহরের সময়ে; আর আসমান ও যমীনে সকল প্রশংসা একমাত্র তাঁরই।(সূরা রোম, আয়াত-১৭-১৮)
– সন্ধ্যা বলতে এখানে মাগরিব ও ইশার সালাত বুঝানো হয়েছে।
– আর সকালে বলতে ফরজ সালাত বুঝানো হয়েছে।
–আর অপরাহ্ন বলতে আসরকে বোঝানো হয়েছে।
যোহর ও আসরের সালাতঃ
আল্লাহ তাআলা যোহর ও আসরের সালাতের বিষয়ে বলেনঃ
وَأَقِمِ الصَّلَاةَ طَرَفَيِ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِّنَ اللَّيْلِ
“আর দিনের দুই প্রান্তে এবং রাতের কিছু অংশ সালাত প্রতিষ্ঠা করুন”সূরা হুদ: ১১৪
দিনের দুই প্রান্তের মধ্যে একপ্রান্তে ফজর আর অন্য প্রান্ত যোহর ও আসর নামায উদ্দেশ্য আর রাতের কিছু অংশ সালাত বলতে মাগরিব ও ইশার সালাত উদ্দেশ্য।
ফজর, যোহর, আসর, মাগরিব ও ইশার সালাতঃ
আল্লাহ তাআলা এ চার সময় সম্পর্কে বলেন:
أَقِمِ الصَّلَاةَ لِدُلُوكِ الشَّمْسِ إِلَىٰ غَسَقِ اللَّيْلِ وَقُرْآنَ الْفَجْرِ ۖ إِنَّ قُرْآنَ الْفَجْرِ كَانَ مَشْهُودًا
“সূর্য ঢলে পড়ার সময় থেকে রাত্রির অন্ধকার পর্যন্ত নামায কায়েম করুন এবং ফজরের কুরআন পাঠও। নিশ্চয় ফজরের কোরআন পাঠ মুখোমুখি হয়।”সূরা ইসরা/ বানি ঈসরাইল: ৭৮
সূর্য ঢলে পড়ার পর হল যোহরের সালাত আর রাত্রির অন্ধকার নেমে আসার পর মাগরিব ও ইশার সালাত। আর ফজর সালাতের কথা তো স্পষ্টই।
আসর ও ফজরের সালাতঃ
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আপনি আপনার প্রভুর প্রশংসা করুন সূর্যাস্তের পূর্বে ও সূর্যোদয়ের পূর্বে।’(সূরা মুমিন, ৫৫)
সূর্যাস্তের পূর্বে👉আসর
সূর্যোদয়ের পূর্বে👉ফজর
পাঁচ ওয়াক্তের আরও বর্ণনাঃ
আল্লাহ তাআলা আরও বলেন:
وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ غُرُوبِهَا ۖ وَمِنْ آنَاءِ اللَّيْلِ فَسَبِّحْ وَأَطْرَافَ النَّهَارِ
“ আপনার পালনকর্তার প্রশংসা পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন সূর্যোদয়ের পূর্বে, সূর্যাস্তের পূর্বে এবং পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন রাত্রির কিছু অংশ ও দিবাভাগেসূরা ত্ব-হা, আয়াত-১৩০
– সূর্যোদয়ের পূর্বে ফজর সালাত
– সূর্যাস্তের পূর্বে আসর সালাত।
– রাত্রির কিছু অংশ মাগরিব ও ইশার সালাত।
– দিবাভাগে যোহর সালাত।
জুম্মার নামাজ👇
হে বিশ্বাসীগণ, যখন শুক্রবার (জামায়াতের দিন) সালাতের জন্য আহবান ধ্বনিত হয়, সমস্ত কর্ম ত্যাগ করিয়া আল্লাহর স্মরণের জন্য একান্তভাবে ধাবিত হও।(সূরা আল-জুমু'আ,আয়াত ৯)
কুরআনে পূর্ববর্তী নবীদের সালাতের বিবরণও দেয়া হয়েছে👇
ইব্রাহিম(আ) এর সালাত👇
যখন আমি কা’বা গৃহকে মানুষের জন্যে সম্মিলন স্থল ও শান্তির আলয় করলাম, আর তোমরা ইব্রাহীমের দাঁড়ানোর জায়গাকে সালাতের ( مُصَلًّى) জায়গা বানাও এবং আমি ইব্রাহীম ও ইসমাঈলকে আদেশ করলাম, তোমরা আমার গৃহকে তওয়াফকারী, অবস্থানকারী ও রুকু-সেজদাকারীদের জন্য পবিত্র রাখ।(সূরা বাকারা আয়াত ১২৫)
মূসা ও হারুন(আ) এর সালাত👇
আর আমি নির্দেশ পাঠালাম মূসা এবং তার ভাইয়ের প্রতি যে, তোমরা তোমাদের জাতির জন্য মিসরের মাটিতে বাস স্থান নির্ধারণ কর। আর তোমাদের ঘরগুলো বানাবে কেবলামুখী করে এবং সালাত কায়েম কর আর যারা ঈমানদার তাদেরকে সুসংবাদ দান কর।(সূরাঃ ইউনুস, আয়াত ৮৭)
ঈসা(আ) এর সালাত👇
আমি যেখানেই থাকি, তিনি আমাকে বরকতময় করেছেন। তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, যতদিন জীবিত থাকি, ততদিন নামায ও যাকাত আদায় করতে।সূরাঃ মারইয়াম,আয়াত ৩১)
জাকারিয়া(আ) এর সালাত👇
যখন তিনি কামরার ভেতরে সালাতে দাঁড়িয়েছিলেন, তখন ফেরেশতারা তাঁকে ডেকে বললেন যে, আল্লাহ তোমাকে সুসংবাদ দিচ্ছেন ইয়াহইয়া সম্পর্কে, যিনি সাক্ষ্য দেবেন আল্লাহর নির্দেশের সত্যতা সম্পর্কে, যিনি নেতা হবেন এবং নারীদের সংস্পর্শে যাবেন না, তিনি অত্যন্ত সৎকর্মশীল নবী হবেন।(সূরাঃ আলে-ইমরান,আয়াত ৩৯)
লুকমান(আ) এর সালাত👇
হে বৎস, সালাত কায়েম কর, সৎকাজে আদেশ দাও, মন্দকাজে নিষেধ কর এবং বিপদাপদে সবর কর। নিশ্চয় এটা সাহসিকতার কাজ।(সুরা লুকমান,আয়াত ১৭)
শুয়েবের সালাত👇
তারা বলল-হে শোয়ায়েব (আঃ) আপনার সালাত কি আপনাকে ইহাই শিক্ষা দেয় যে, আমরা ঐসব উপাস্যদেরকে পরিত্যাগ করব আমাদের বাপ-দাদারা যাদের উপাসনা করত? অথবা আমাদের ধন-সম্পদে ইচ্ছামত যা কিছু করে থাকি, তা ছেড়ে দেব? আপনি তো একজন খাস মহৎ ব্যক্তি ও সৎপথের পথিক।(সূরা হুদ,আয়াত ৮৭)
শুধুমাত্র কুরআনে নয় বাইবেলেও সালাত আদায়ের নিয়মাবলী বর্ণিত আছে👇
রুকু👇
“তারপর তারা মাথা ঝুকালেন ও মাটির প্রতি দৃষ্টি রেখে তাদের প্রভুর উপাসনা করলেন।” (নেহেমিয়া ৮:৬)
সিজদাহ👇
“এবং তিনি (যিশু) আরো কিছুদূর এগিয়ে গেলেন এবং তার মুখ মাটিতে ঠেকিয়ে দোআ করলেন...” (ম্যাথু ২৬:৩৯)
“এবং যোশুয়া (ইউশা) মাটিতে মুখ ঠেকিয়ে পড়ে গেলেন এবং প্রার্থনা করলেন” (যোশুয়া ৫:১৪)
“এবং মোযেস এবং অ্যারন জনসমাবেশ হতে সরে গিয়ে উপাসকদের মন্ডপের দিকে গেলেন এবং মাটিতে মুখ ঠেকালেন” (নাম্বারস ২০:৬)
“এবং আব্রাহাম মাটিতে মুখ ঠেকালেন” (জেনেসিস ১৭:৩)
"এবং তারা সিংহাসনের সামনে মাটিতে মুখ ঠেকালেন ও ঈশ্বরের উপাসনা করলেন।” (রিভিলেশন ৭:১১)
“তারপর ডেভিড এবং চটের পোষাক পরিহিত ইসরাইলের বয়োজ্যেষ্ঠরা মাটিতে মুখ দিয়ে পড়ে গেলেন।” (১ ক্রনিকলস ২১:১৬)
এবং আব্রাহাম "নিজের চেহারা মাটিতে ফেলে" এবং স্রষ্টা তার সাথে কথা বলেন, বলেন। আমার জন্য, শোনো, আমার প্রতিজ্ঞা তোমার সাথে, তুমি হবে অনেক জাতির পিতা।(আদিপুস্তক ১৭ঃ৩-৪)
এবং প্রভু মোজেস এবং এরনকে বলেন, নিজেদের এই জনসমাগম থেকে আলাদা করো, আমি তাদের হয়তো অল্প সময়ের ব্যবধানেই শেষ করে দিব। আর তারা "নিজেদের চেহারা মাটিতে লুটালো"। এবং তারা বলল, ও প্রভু, সকল মাংস শরীরের মধ্যে থাকা আত্মার প্রভু, একজনের পাপে, সমগ্র জনসভাকে শেষ করে দেয়া কি মানায়?(নম্বর ১৬ঃ২০-২২)
এবং সে [যীশু] কিছুটা এগিয়ে গেলো, এবং "নিজের চেহারায় লুটিয়ে পড়লো" এবং প্রার্থনা করলো, এই বলে, ও আমার পিতা, যদি সম্ভব হয়, এই পেয়ালা আমার থেকে পাশ কাটিয়ে দাও। অন্তত যেভাবে আমি চাই নাহলেও যেভাবে আপনি চাইবেন।"(মথি ২৬ঃ৩৯)
এবং বুক অফ কিংস এ আমরা নবী এলিজাহকে মাটিতে হাঁটু গেড়ে বসে কপাল মাটিতে ঠেকানো অবস্থায় পাই।
শেষ বৈঠক👇
“যখন দানিয়েল জানলেন লেখাটিতে স্বাক্ষর করা হয়েছে, তিনি তার গৃহে প্রবেশ করলেন; তার গৃহের জানালাগুলো জেরুজালেমের দিকে খোলা থাকায়, তিনি পূর্ব সময়ের মতো তিনবার হাঁটু ভেঙ্গে বসে ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা করলেন ও তাঁকে (ঈশ্বরকে) ধন্যবাদ জানালেন।” (দানিয়েল ৬: ১০)
মোনাজাত👇
এজরা সর্বসেরা ঈশ্বর প্রভুর প্রশংসা করলো, এবং অন্য সকলে তাদের হাত তুললো এবং বললো, "আমেন! আমেন!" এরপর তারা "মাথা নোয়ালো" এবং "মাটিতে চেহারা নামিয়ে" প্রার্থনা করলো স্রষ্টার।(নহিমিয় ৮ঃ৬)
তথ্যসূত্র👇
https://bn.mtnews24.com/islam/9217/
https://faruk55kw.blogspot.com/2012/10/blog-post.html?m=1

Comments
Post a Comment