আল্লাহ কি না বানিয়ে ধ্বংশ করতে পারবে? আল্লাহ কি চারটি বাহু ছাড়া চতুর্ভুজ বানাতে পারবে? এ মাত্রই সবাইকে একেবারে ভালো বানিয়ে স্বর্গে রেখে দিতে পারবে যদি অতি দয়ালু হয়? অতি দয়ালু বলতে তিনি কতটা দয়ালু বোঝাচ্ছেন?
আপনি কি এখনো নেশা করেন?
আপনি যে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন আপনার কি ছেলে হয়েছে না কি মেয়ে?
আপনি কি একসাথে ডানে ও বামে যেতে পারবেন?
আপনার কি পিরিয়ড হয়?
মরা পাখি উড়তে পারে?
ইত্যাদি ইত্যাদি। এই প্রশ্নগুলাকে কি বলে যানেন? এগুলাকে লজিক্যাল ফ্যালাসি বলে মানে কুযুক্তি। এখন আপনিও সেটাই করছেন এবং নিজের উচ্চ জ্ঞানের প্রমান দিচ্ছেন মানুষকে। যদি লজিক্যাল ফ্যালাসি সম্পর্কে কোন জ্ঞান না থাকে তাহলে অনলাইনে খুললেই পেয়ে যাবেন সেখান থেকে একটু দেখে নিয়েন।
আল্লাহ কোরআনে বলেছেন তিনি দয়ালু, শক্তিশালি, সুবিচারক, জুলুমকারী নন, জ্ঞানী, সাহায্যদাতা, সর্বদ্রষ্টা, সর্বশ্রোতা ইত্যাদি।
আর স্বর্গের কথা যে বলছেন আল্লাহ কোরআনে অনেক যায়গায় নিজেকে সুবিচারক বলেছেন তাহলে আল্লাহ যদি সবাইকে স্বর্গে পাঠিয়ে দেন তাহলেত তিনি আর সুবিচারক থাকেবন না। কারন দুনিয়াতে যারা অন্যায় করেছে, খুন, চুরি, ঘুস নেওয়া, সন্ত্রাসবাদ, যিনা, ধর্ষন, বাবা-মায়ের অবাদ্ধ হওয়া, মানুষের সম্পদ জোর করে ভোগ করা ইত্যাদি করেছে তাদেরকে শাস্তি না দিলেত আল্লাহ আর সুবিচারক থাকবে না। তখন আল্লাহ জুলুমকারী হয়ে যাবেন কারন যাদেরকে তিনি স্বর্গে নিবেন তাদের মধ্যে একদল থাকবে অন্যাকারী আর আরেক দল থাকতে অন্যায়ের শীকার হওয়া ব্যক্তি, তখনত যাদের সাথে অন্যায় হয়েছে তাদের সাথে অবিচার করা হবে।
একটা উদাহরণ দিলে হয়ত আপনার মাথা আরো ভালো করে ডুকবে। মনে করেন আপনি দুনিয়ার সবচেয়ে দয়ালু মানুষ এমন দয়ালু যে আপনা হাত পা কেটে নিলেও আপনি কিছু বলবেন না কাউকে এমন মানুষ আপনি। কিন্তু একদিন আপনি দেখলেন কিছ দুষ্টুপ্রকৃতির লোক একটি শিশুকে ধর্ষন করেছে এবং আপনি সেই শিশুটিকে তাদের হাত থেকে বাচাঁলেন এখন আপনিত দয়ালু তাহলে কি আপনি তাদেরকে শাস্তি না দিয়ে ছেড়ে দিবেন? আপনি কিন্তু বিচারক না তারপরও আপনি নিশ্চই তাদেরকে শাস্তি দিতে চাইবেন অথচ যেখানে আল্লাহ সুবিচারক ও দয়ালু দুটোই এবং আল্লাহত সবকিছু নিজেই দেখছেন সেখানে আল্লাহর সামনে এমন অন্যায় কাজ করবে কেউ আর আল্লাহ তাকে শাস্তি না দিয়ে দয়া করে তাকে স্বর্গে নিবেন এমন চিন্তা করাটাওত মুরক্ষতামি ছাড়া আর কিছুই না।
হ্যা যখন এই অন্যায়কারীরা নিজেদের শাস্তি পেয়ে যাবে তখন আল্লাহ তাদেরকে জান্নাতে পাঠাবেন। আবার আল্লাহ চাইলেই তাদেরকে শাস্তি না দিয়ে জান্নাতে পাঠাতে পারবেন কিন্তু এটা তার সিফাতের বিরুদ্ধে কাজ। আর আল্লাহ চান না নিজের সিফাতের বিরুদ্ধে কাজ করতে তাই তিনি তাদেরকে শাস্তি দিবেন।
Comments
Post a Comment