স্বামী পরকিয়া করলে সমস্যা নেই, স্বামী হারাম সম্পর্কে জড়ালে সমস্যা নেই। সমস্যা হয় তখন, যখন হারাম থেকে বাঁচতে বিয়ে করতে চায়।

স্বামী পরকিয়া করলে সমস্যা নেই, স্বামী হারাম সম্পর্কে জড়ালে সমস্যা নেই। সমস্যা হয় তখন, যখন হারাম থেকে বাঁচতে বিয়ে করতে চায়। জানি, আজকে যেই বিষয় নিয়ে কথা বলব সেটা অনেকেই পড়তে চাইবে না। স্বামী যেন ভুলেও না দেখে,পারলে আমাকে ব্লক করাবে। কিন্তু বাস্তব এই কথাগুলো বলার মানুষ খুব কমই আছে। অনেক পুরুষ আছে যারা পারিবারিক এবং সামাজিক চাপের কারণে গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য একাধিক স্ত্রীর প্রয়োজন সত্বেও করতে পারছে না। করা তো দূরের কথা , বলারও সাহস নেই। অথচ ঠিকই গোপনে অনেক কিছু করে। আমরা কি বলি? বলি, স্বামীর সাথে জান্নাতে থাকব। কিন্তু স্বামী কখন গুনাহে লিপ্ত হয়ে যাচ্ছে, কেন হচ্ছে সেটার খবর রাখিনা। স্বামীরও সব হিসাব ক্লিয়ার করতে হবে আল্লাহর কাছে , সেটা কি চিন্তা করেছি? স্বামী হয়তো যিনার গুনাহ নিয়ে ঘুরছে ,আল্লাহর দেয়া ব্যবস্থা থাকার পরও শুধুমাত্র সমাজ আর পরিবারের কথা ভেবে থামতে হচ্ছে। কিন্তু আল্লাহ কি ছাড় দিবেন সাধারণভাবে? এটা কি শরিয়তসম্মত কারণ? বেশিরভাগ পুরুষকেই আল্লাহ নারীদের চেয়ে চাহিদা বেশি দিয়েছেন।এটাই বাস্তব, কেউ এটাকে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। নারী আর পুরুষের একান্ত সময়ের চাহিদাকে কেন্দ্র করেই সবকিছু। সন্তান হওয়া , তারা বিবাহ উপযুক্ত হলে আবার তাদের থেকে সন্তান , এভাবেই দুনিয়া চলে আসছে। একটা মেয়ে মাসের ৩-১০ দিন পর্যন্ত হায়েজ অবস্থায় থাকে, পেট ব্যথা সহ নানান অসুবিধা তখন থাকে। আবার গর্ভবতী হলে বেশিরভাগ মেয়েই লম্বা সময় অসুস্থতা, নানাবিধ অসস্তিতে থাকে। তারপর নিফাস এবং বাচ্চা লালন পালন। নিজের জীবনই চলেনা। ক্লান্তি , মুডসুইং সহ কতরকম পরিস্থিতি। তখন স্বামীর চাহিদা কিভাবে পূরণ হয়? আমরা মেয়েরা বলি, ভালবাসা থাকলে অবশ্যই স্ত্রীর পাশে থাকবে। কিন্তু ভালবাসা আর প্রয়োজন দুইটা দুই জিনিস। স্বামী মৌখিকভাবে স্ত্রীকে আস্বস্ত করলেই কি গুনাহ থেকে আসলেই বাঁচা সম্ভব? সাধারণভাবে কখনই না। ভালবাসার ওজর পেশ করে অন্তরের যিনা, চোখের যিনা সহ বেশকিছু স্টেজ পার করা এত সহজ? এর দায় টা আসলে কে নেবে? পুরুষদের স্বভাবগত কিছু ব্যাপার থাকবেই যা সৃষ্টির শুরু থেকে। একটা ছেলে রাস্তা দিয়ে হেটে গেলে কয়টা মেয়ের কুদৃষ্টি হবে? বীপরীত দিকে একটা ছেলের কিন্তু ভিন্ন পরিস্থিতি হয়। যার সমাধান বিয়ে। এতে করে নজরের হেফাজত সহজ হয়। এখন বিষয় হলো, সমাধান হওয়ার প্রথম ধাপ পার করার পরও যদি তার প্রয়োজন পুরা না হয় তাতে তার শরীয়ত মোতাবেক পরবর্তী

Comments