গিবত চর্চা নিষেধ করার কারণ কী??

গিবত চর্চা নিষেধ করার কারণ কী?? কুরআনে বলা হয়েছে, يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اجْتَنِبُوا كَثِيرًا مِنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ إِثْمٌ ۖ وَلَا تَجَسَّسُوا وَلَا يَغْتَبْ بَعْضُكُمْ بَعْضًا ۚ أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَنْ يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ تَوَّابٌ رَحِيمٌ ১. প্রথমতঃ মহান আল্লাহ তা'আলা নিষেধ করেছেন। মুমিনরা এর ভিত্তিতেই আমল করে থাকে। ২. দ্বিতীয়তঃ এখানে একটি মনস্তাত্ত্বিক বিষয় রয়েছে। মানুষ কিন্তু বিশ্লেষণধর্মী না। শুনে বিশ্বাস করার উপরে নির্ভরশীল। মানুষের সামনে যখন কারো দোষ চর্চা করা হয়, চর্চাকারী ব্যক্তি হয়তো ব্যক্তিগত কোনো স্বার্থে তার সামনে দোষ চর্চা করে অথবা হিংসার বশবর্তী হয়ে দোষ চর্চা করে । হয়তো সেটি সঠিক অথবা ভুল। মানুষ বিশ্লেষণধর্মী না হওয়ার কারণে মুখ থেকে বলা কথাকেই বিশ্বাস করে থাকে।ফলে অযথা তার প্রতি বিদ্বেষ সৃষ্টি হয়। আপনি লক্ষ করলে দেখবেন,যার ব্যাপারে গীবত করা হয়,তার ব্যাপারে একটি বদ ধারণা সৃষ্টি হয়ে থাকে।তাকে দেখলেই মনে হয়,এই তো সেই লোক।কিছু নির্বোধ তো যাচাই না করেই তার সাথে খারাপ আচারণ,তার ব্যাপারে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করে থাকে।এভাবেই মনের মাঝে অকারণে বিদ্বেষ সৃষ্টি হতে থাকে। ফলে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।তাই মহান আল্লাহ মনস্তাত্ত্বিক বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখেই বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। বুঝতে পেরেছেন??

Comments