knowledge of Islam-মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৭, ২০২১
জাল হাদীস পর্ব ১
এই মওজু বা জাল হাদিস হলো মিথ্যা বা বানোয়াট হাদিস যা আদৌ মূলত কোন হাদিসই নয়। ঐ সকল হাদিসকে জাল হাদিস বলা হয় যা রাসূল (সাঃ) এর নামে বানানো হয়েছে যা অদৌ কখনই তিনি বলেন নি। এক কথায় রাসূল (সাঃ) এর নাম ভাঙ্গিয়ে প্রচলিত ও কথিত হাদিসকে জাল বা মওজু বা বানোয়াট বা মিথ্যা হাদিস বলা হয়।
>> স্বয়ং রাসূলুল্লাহ ﷺ এ প্রসঙ্গে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন,“যে ব্যক্তি আমার উপরে মিথ্যারোপ করে, সে যেন তার ঠিকানা জাহান্নামে নির্ধারণ করে নেয়।” (সহীহ বুখারী, প্রথম খন্ড, কিতাবুল ইলম, হাদিস নং ১০৭; সহীহ মুসলিম, প্রথম খন্ড, কিতাবুল ঈমান)
>> তিনি আরও বলেনঃ “তোমরা আমার উপর মিথ্যারোক কর না, নিশ্চই আমার উপর মিথ্যারোপকারী জাহান্নামে প্রবেশ করবে” (বুখারী, প্রথম খন্ড, কিতাবুল ইলম, হাদিস নং ১০৬; মুসলিম, প্রথম খন্ড, কিতাবুল ঈমাণ; ইবনু মাজাহ, হাদিস নং ২৯)
চলুন পড়ে আসি কিছু জাল হাদীস যেগুলো আমাদের দেশে বহু প্রচলিত ও মানুষ বেশি বিশ্বাস করে।
নিছের এগুলো হাদিস নয়, তবে হাদিস হিসেবে প্রচলিত।
১. দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ। ২. দুনিয়া আখেরাতের ফসলি ভূমি।
৩. দুনিয়া হচ্ছে আখেরাতের সতীন। ৪. স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর বেহেশত।
৫. আমি জ্ঞানের শহর এবং আলি তার দরজা।
৬. মুসাফাহার পর বুকে হাত লাগানো নবী সুন্নত।
৭. নারীর উপদেশ মেনে চললে অনুশোচনায় ভুগবে।
৮. জ্ঞান অর্জনের জন্য সুদূর চীনে যেতে হলেও যাও।
৯. নিজের কুপ্রবৃত্তির বিরুদ্ধে জিহাদ সর্বোত্তম জিহাদ।
১০. জ্ঞানীর কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়ে বেশি পবিত্র।
১১. এক ঘণ্টা গভীরভাবে চিন্তা করা ৬০ বছর ইবাদতের সমান।
১২. মুহাম্মাদ ﷺ—এর নূর থেকে সমস্ত সৃষ্টি জগত সৃষ্টি হয়েছে।
১৩. আমি তোমাদেরকে দু’টি উপশম বলে দিলাম- মধু এবং কোরআন।
১৪. যদি আরবদের অধঃপতন হয়, তাহলে ইসলামেরও অধঃপতন হবে।
১৫. যদি নারী জাতি না থাকতো, তাহলে আল্লাহর যথাযথ ইবাদত হতো।
১৬. আজানের মধ্যে আঙ্গুল চুম্বন করে চোখে মোছা ফজিলতের কাজ।
১৭. দ্বীন (ধর্ম) হচ্ছে বিবেক, যার দ্বীন (ধর্ম) নেই তাঁর কোন বিবেক নেই।
১৮. মুহাম্মাদকে ﷺ সৃষ্টি না করলে আল্লাহ কোন কিছুই সৃষ্টি করতেন না।
১৯. সবুজ গাছপালা ও শস্যের দিকে তাকিয়ে থাকলে দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়।
২০. আল্লাহ ঐ বান্দাকে ভালবাসেন, যে তার ইবাদতে ক্লান্ত, নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
২১. তোমরা আমার সত্তা দ্বারা অসীলা ধর, কারন আমার সত্তা আল্লাহর কাছে মহান।
২২. বিয়ে করো, আর কখনও তালাক দিয়ো না, কারণ তালাক দিলে আল্লাহর আরশ কাঁপে।
২৩. যে বরকতের আশায় তার ছেলের নাম মুহাম্মদ রাখবে সে এবং তার ছেলে জান্নাত পাবে।
২৪. নবীগণ হচ্ছেন নেতা, ফকীহগণ হচ্ছেন সর্দার আর তাদের মজলিস গুলো হচ্ছে অতিরিক্ত।
২৫. তোমরা পরকাটা কবুতর গ্রহণ কর, কারন তা তোমাদের বাচ্চাদের থেকে জ্বীনকে বিমুখ করে দেয়।
Comments
Post a Comment